Pages

Friday 14 September 2018


এশিয়া কাপের মহাদেশীয় এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ অবস্থান বেশ শক্তিশালী। গেলবারের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। যদিও ফাইনালে ভারতের সঙ্গে হেরেছে টাইগাররা। হারলেও আত্মবিশ্বাস টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। কেননা র‍্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।  
ওয়ানডে ফরম্যাটের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। শেষ তিন আসরের দুটিতেই বাংলাদেশ খেলেছে ফাইনাল। শিরোপার স্বাদ না পেলেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দাপুটে। 
মাশরাফি বলেছেন, 'এশিয়া কাপে নিকট অতীতে আমাদের ভালো কিছু স্মৃতি আছে। আমরা গত তিন আসরের দুটিতে ফাইনাল খেলেছি। এশিয়া কাপে অংশ নেওয়া ছয় দলের মধ্যে র‌্যাংকিংয়ে আমরা তৃতীয় সেরা। শক্ত দুই দলের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি আমরা। তবে অতীত ইতিহাস আমাদের উৎসাহ এবং আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। সাধারণত সবার চোখ থাকে বিশ্বকাপের দিকে। এই টুর্নামেন্ট দলকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমাদের দলের অনেকের বিশ্ব প্রতিযোগিতায় লড়াইয়ের জন্য এটা অনেক সাহায্যে করবে।' 
এর আগেও তারকা ফাস্ট বোলার বলেছিলেন এশিয়া কাপের শিরোপা জেতার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের। দুবাইয়ে যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন,  'সবকিছু নির্ভর করে আমরা কতটুকু তৈরি আছি টুর্নামেন্ট জেতার জন্য তার ওপর। আপনারা বললেন যে, বেশিরভাগ খেলোয়াড় বলছে আমরা টুর্নামেন্ট জিতব। তবে আমি এই টাইপ কথা বলতে কখনওই পছন্দ করি না। তবে মনে করি অবশ্যই সামর্থ্য আছে।'
শনিবার উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ মাঠে নামছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এশিয়া কাপ থেকে বিশ্বকাপের ভালো প্রস্তুতি হবে বলে বিশ্বাস করেন মাশরাফি।





দেশে যত বড় বড় ব্যবসায়ী রয়েছে, তাদের করের আওতায় আনতে অফিসারদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘তাদের (বড় ব্যবসায়ীদের) কমিশনাররা চিহ্নিত করছেন। বর্তমানে আমাদের যে ট্যাক্সেসেশন জোনগুলো রয়েছে, সেগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ করদাতাদের ফাইলগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।’
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শান্তিনগরে বিসিএস (কর) একাডেমি ভবনে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ৩৬তম নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী কর কমিশনারদের ছয় মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘কর ফাঁকিবাজ বিত্তশালীদের চিহ্নিত করতে কমিশনারেটগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কর দিচ্ছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘পাশাপাশি শহরের কর ফাঁকিবাজ বাড়িওয়ালা ও ফ্ল্যাট মালিকদের করের আওতায় এনে করের পরিধি বাড়াতে হবে।’
গ্রামে কর প্রদানে সক্ষম অনেক ব্যক্তি রয়েছে উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘যারা করের আওতার বাইরে রয়েছে। তাদের করের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এদের করের আওতায় আনতে আমরা সেখানে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছি।’
প্রশিক্ষণে আসা নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন সহকারী কর কমিশনারদের উদ্দেশে চেয়ারম্যান বলেন, ‘কর কর্মকর্তা হওয়ার জন্য কয়েক লাখ মেধাবী পরীক্ষা দিয়েছে, কিন্তু সবাই নিয়োগ পায়নি। তাই নিয়োগপ্রাপ্তরা সাধারণ লোকের মতো নয়। তাদের ওপর রাষ্ট্রীয় গুরুদায়িত্ব রয়েছে। মেধা দিয়ে সেই কাজ করতে হবে।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস (কর) একাডেমির মহাপরিচালক বজলুর কবির ভূঞা। এতে বক্তব্য রাখেন- এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কর-৮ এর কমিশনার সেলিম আফজাল।
ছয় মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ৪২ জন বিসিএস ক্যাডার অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩৬তম বিসিএসের ক্যাডার ৩৯ জন আর বাকি তিনজন ৩৪তম বিসিএস ক্যাডার।


রাষ্ট্রপক্ষ জোর করে আদালতকে ব্যবহার করে বিচারকার্য ছাড়াই রায় দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।     
শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। 
সরকারের নির্দেশেই রাষ্ট্রপক্ষ চাপ দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে ন্যায় বিচারের পরিপন্থী, অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। প্রতিহিংসার বিচার চরিতার্থ করতেই তাড়াহুড়ো করার তাগিদ দেয়া হচ্ছে।’  
বিএনপি চেয়ারপারসন গুরুতর অসুস্থ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘অসুস্থতার কথাটি আদালতকে তিনি বলেছেন। কিন্তু আদালত তো তার চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দিলেন না। সেই আদালত সরকারের হুকুমের বাইরে যেতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে জনগণ সন্দেহ পোষণ করে।’  
ন্যায় বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘যেখানে দেশের প্রধান বিচারপতিকে বন্দুকের নলের মুখে দেশ ছাড়তে হয়, সেখানে নিম্ন আদালত সরকারের চাপ প্রতিহত করে ন্যায় বিচার করতে পারবেন কি? এখনও পর্যন্ত সেই দৃষ্টান্ত আমরা দেখিনি।’  
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘পোলিও টিকা খাওয়ানোর একটি শ্লোগান আমরা অনেকদিন যাবত শুনে এসেছি বাদ যাবে না একটি শিশু। এখন সরকার এ শ্লোগানটি ভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করছে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর।’
রিজভী অভিযোগ করেন, ‘মামলা-হামলায় বাদ যাবে না একটি বিএনপি নেতাকর্মীও। দেশে এখন মানুষ নিজের ছায়াকেও ভয় পাচ্ছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের ছাঁকনি দিয়ে ধরা হচ্ছে। এ দেশে বিদেশি মিশনের কূটনীতিকদেরও নিরাপত্তা নেই।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী সরকার ভীরু ও কাপুরুষ, তাদের কোনো সাহস নেই। আছে শুধু ভয় ও আশঙ্কা। যদি সাহস থাকত তাহলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করার জন্য নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেন।’
আওয়ামী সরকার পুলিশের ওপর নির্ভর করছে অভিযোগ করে সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘জনগণ মনের ক্ষোভ চেপে রাখতে ধৈর্য্য হারিয়েছে, সর্বত্র প্রতিবাদের ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে। যে কোনো মুহূর্তে ধেয়ে আসা জনগণের ঘুর্ণিঝড় রুদ্ররুপ ধারণ করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জনবিস্ফোরণ ঠেকানো যাবে না।’  
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহদপ্তর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন প্রমুখ।