Pages

Friday 14 September 2018






দেশে যত বড় বড় ব্যবসায়ী রয়েছে, তাদের করের আওতায় আনতে অফিসারদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘তাদের (বড় ব্যবসায়ীদের) কমিশনাররা চিহ্নিত করছেন। বর্তমানে আমাদের যে ট্যাক্সেসেশন জোনগুলো রয়েছে, সেগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ করদাতাদের ফাইলগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।’
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শান্তিনগরে বিসিএস (কর) একাডেমি ভবনে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ৩৬তম নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী কর কমিশনারদের ছয় মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘কর ফাঁকিবাজ বিত্তশালীদের চিহ্নিত করতে কমিশনারেটগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কর দিচ্ছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘পাশাপাশি শহরের কর ফাঁকিবাজ বাড়িওয়ালা ও ফ্ল্যাট মালিকদের করের আওতায় এনে করের পরিধি বাড়াতে হবে।’
গ্রামে কর প্রদানে সক্ষম অনেক ব্যক্তি রয়েছে উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘যারা করের আওতার বাইরে রয়েছে। তাদের করের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এদের করের আওতায় আনতে আমরা সেখানে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছি।’
প্রশিক্ষণে আসা নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন সহকারী কর কমিশনারদের উদ্দেশে চেয়ারম্যান বলেন, ‘কর কর্মকর্তা হওয়ার জন্য কয়েক লাখ মেধাবী পরীক্ষা দিয়েছে, কিন্তু সবাই নিয়োগ পায়নি। তাই নিয়োগপ্রাপ্তরা সাধারণ লোকের মতো নয়। তাদের ওপর রাষ্ট্রীয় গুরুদায়িত্ব রয়েছে। মেধা দিয়ে সেই কাজ করতে হবে।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস (কর) একাডেমির মহাপরিচালক বজলুর কবির ভূঞা। এতে বক্তব্য রাখেন- এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কর-৮ এর কমিশনার সেলিম আফজাল।
ছয় মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ৪২ জন বিসিএস ক্যাডার অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩৬তম বিসিএসের ক্যাডার ৩৯ জন আর বাকি তিনজন ৩৪তম বিসিএস ক্যাডার।

No comments:

Post a Comment